সিলেটবিবিসি ডেস্ক :: মামলায় সহযোগিতা করার নামে চুনারুঘাটের এক নারীকে কু-প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে হবিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মানিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এমনকি তিনি ওই নারীকে কাছে পেতে স্বামীকে ক্রাসফায়ারের হুমকি দেয়ার অভিযোগও করেন নারীর স্বামী ।
মঙ্গলবার(২৫ আগস্ট ) বিকেলে সিলেট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন ওই নারীর স্বামী ইউসুফ আলী এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চুনারুঘাট উপজেলার মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ আলী অভিযোগ করে বলেন- ‘টাকা পাওনা মামলা নিয়ে ২০১৯ সালে আমার স্ত্রী শিফন বেগমকে নিয়ে হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে যাই। সেখানে গিয়ে পরিচয় হয় ডিবির ওসি মানিকুল ইসলামের সাথে। মামলা সংক্রান্ত আলোচনার সুযোগে আমার স্ত্রীর উপর ওসি মনিরুল ইসলামের কু-নজর পড়ে। অভিযোগটি ভাল করে দেখার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নেন এবং আমরা টাকা নিয়া বাড়ি চলে যাই। এমনকি ওসি মানিকুল ইসলাম আমার স্ত্রীকে গভীর রাতে ফোন করে ডিস্টার্ব করেন। বিষয়টি আমার স্ত্রী শিফন বেগম আমাকে জানালে আমি তার ফোনটি রিসিভ করে কথা বলতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। এরপর থেকে তিনি আমার প্রতি ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেন।’
তিনি আরও বলেন- ‘ওসি ডিবি ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে আমার স্ত্রীকে কু-প্রস্তাব দেন। ফলে আমি আমার স্ত্রীর মোবাইলের সিম বন্ধ করে দেই। কিন্তু ওসি ডিবি আমার ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন দিয়ে আমার অভিযোগের কথা না বলে আমার স্ত্রীর খোঁজ খবর নেন। তার ফোনালাপ আমার কাছে রহস্যময় হলে আমি তার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করি। পরে আমার টাকা পাওনার ব্যাপারে আদালতে মামলা দায়ের করি। তারপরও ওসি মানিকুল ইসলাম আমার স্ত্রীর পিছন ছাড়েননি। তাকে কাছে পেতে ব্যাকুল হয়ে উঠেন। কারণে-অকারণে আমার স্ত্রীকে বিভিন্ন স্থানে এবং অফিসে যেতে বলেন ও আমার স্ত্রীকে বিরক্ত করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে আমার স্ত্রীকে কাছে না পেয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে উঠেন ওসি মানিকুল। এমনকি তিনি আমাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখান। গত ২৪ জুলাই হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি তাকে শতর্ক করে দেন। ফলে ওসি মানিকুল আমার উপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে তুলে নেয় এবং পাচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় টাকা না দিলে আমাকে ক্রসফায়ার দেয়া অথবা বিভিন্ন মামলায় ফাসিয়ে দেয়ার হুমকি দেন। তাৎক্ষণিকভাবে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আমি প্রাণ বাচাই।
এদিকে, ওসি মানিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির বিষয়ে গত ২০ আগষ্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে ও গত ২৪ আগষ্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার আইজিপি বরাবরেও স্বারক প্রদান করেছেন তিনি।
তবে এসব অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করেন হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি (ডিবি) মানিকুল ইসলাম বলেন- ‘আমার বিরুদ্ধে মিত্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের উপকার করতে গিয়ে আমি বিপদে পড়েছি।’
সিলেটবিবিসি/২৬ আগস্ট ২০/রাকিব