নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটে বৃহস্পতিবার থেকে নয়, ‘লকডাউন’ শুরু হচ্ছে শনিবার থেকে। মঙ্গলবার রাতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের এক বৈঠকে বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে দুদিন পিছিয়ে শনিবার থেকে লকডাউন কার্যকরের প্রস্তাব রাখা হয়।
সিসিক সুত্রে জানা গেছে, নাগরিক ভোগান্তি কমাতেই সিসিকের বৈঠকে উপস্থিত বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শনিবার থেকে লকডাউন করার প্রস্তাব দেন। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন সিলেট রেড জোন ঘোষিত হওয়ায় এবারের লকডাউন অনেকটা কঠোর হবে। আজকের পর কালকে থেকেই লকডাউন হলে অনেক মানুষ তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বাজার সদাই করতে পারবে না। তাছাড়া এতো স্বল্প সময়ের মধ্যে লকডাউন শুরু হয়ে যাবে এই বার্তা পৌছানোটাও কষ্টকর হয়ে যাবে। তাছাড়া শুক্রবার জুম্মার নামাজেও ইমামগণ মুসল্লীদের লকডাউনের ব্যাপারে অবগত করতে পারবেন। সবমিলিয়ে নাগরিক ভোগান্তি কমাতে বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শনিবার লকডাউনের পক্ষে প্রস্তাব রাখেন কাউন্সিলররা।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আগামীকাল বুধবার ঢাকায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনার চিঠি পাঠানো হবে।
এর আগে আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটে সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসক কাজী এম. এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের এক সভায় সিলেটের ২৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে করোনার রেড জোন চিহ্নিত হওয়া ২৪টি ওয়ার্ডকেই লকডাউনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিসিকের ২৫, ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ড বাদে বাকী ২৪টি ওয়ার্ডকেই রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই এলাকাগুলোতে আগামী বৃহস্পতিবার থেকেই লকডাউন শুরু হওয়ার কথা ছিলো।
সিসিকের আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন সিটি সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল, শাহপরান থানার সহকারী কমিশনার মো. মইনুল আবছার, কোতোয়ালী থানার সহকারী কমিশনার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী, কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মো. আজাদুর রহমান আজাদ, রেজওয়ান আহমদ, আফতাব হোসেন খান, রাশেদ আহমদ, এবিএম জিল্লুর রহমান, ফরহাদ চ্যেধুরী শামীম, ইলিয়াছুর রহমান, মো. ছয়ফুল আমিন (বাকের), মোহাম্মদ তৌফিক বকস, এস এম শওকত আমিন তৌহিদ, তারেক উদ্দিন তাজ, শান্তনু দত্ত (সনতু), অ্যাডভোকেট ছালেহ আহমদ সেলিম, সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, একেএ লায়েক, মোস্তাক আহমদ, মো. সিকন্দর আলম, শাহানারা বেগম, রেবেকা আক্তার লাকী, অ্যাডভোকেট কুলসুমা বেগম পপি।