প্রতিনিধি,হবিগঞ্জ :: হবিগঞ্জের মাধবপুরে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের ঘটনার দুই বছর পর তার পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) হবিগঞ্জ।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২০ আগস্ট মাধবপুর উপজেলার শাহজীবাজার দরগা গেট থেকে ছাতিয়াইন বাজার সড়কের বাঘাসুরা নামক স্থানের পার্শ্ববর্তী একটি ডোবায় একজনের লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল মিয়ার মাধ্যমে খবর পেয়ে হবিগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এস এম রাজু আহম্মেদসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাত পুরুষের গলিত মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে মাধবপুর থানার এসআই কামাল হোসেন সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ মর্গে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার এসআই কামাল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মাধবপুর থানার পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় পরে মামলাটি হবিগঞ্জ জেলা পিবিআই-এ স্থানান্তর করা হয়।
হবিগঞ্জ জেলা পিবিআই পরিদর্শক মৃণাল দেবনাথ জানান, মামলাটি হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ পিবিআই-এ হস্তান্তর করায় অজ্ঞাতনামা মৃতের পরিচয় শনাক্তসহ হত্যার কারণ উদঘাটনের অনুসন্ধানে নামে পিবিআই। একপর্যায়ে অজ্ঞাত মৃতদেহের দাঁত ও হাড় আলামত হিসেবে সংগ্রহ করে মৃতদেহের ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করার জন্য সিআইডিতে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে মৃতের পরিচয় শনাক্তের জন্য ঘটনাস্থলের আশেপাশেরসহ বিভিন্ন থানা এলাকার নিখোঁজ ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে পিবিআই। একপর্যায়ে জানা যায়, ঘটনার ৫/৭দিন আগে বাঘাসুরা গ্রামের গোপেশ রঞ্জন কর নিখোঁজ হয়েছেন এবং তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পিবিআই পরিদর্শক মৃণাল দেবনাথ নিখোঁজ গোপেশ রঞ্জন করের বাড়িতে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তার বড় ভাই ভানু রঞ্জন কর জানান, তার ভাই নিখোঁজ কিন্তু যে মৃতদেহটি পাওয়া গেছে সেটি তিনিসহ তার পরিবারের অনেকেই দেখেছেন। ওই মৃতদেহ তার নিখোঁজ ভাই গোপেশ রঞ্জন করের নয়।
কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের অনুমতি নিয়ে নিখোঁজ গোপেশ চন্দ্র করের পুত্র দিগন্ত রঞ্জন করের (১২) ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডিতে প্রেরণ করেন। ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণিত হয় অজ্ঞাত মৃতদেহটি দিগন্ত রঞ্জন করের পিতা নিখোঁজ গোপেশ রঞ্জন করের। পরিচয় শনাক্তের পর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান পিবিআই পরিদর্শক মৃণাল দেবনাথ।
সিলেটবিবিসি/১৮ আগস্ট ২০/রাকিব