বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:: সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্বপৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৫,৬ নং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের সদস্য শাহিনা বেগম এর স্বামীর বিরুদ্ধে গরিব ও অসহায় সুবিধাবঞ্চিতদের প্রাপ্য সরকারি বয়স্ক ভাতা আত্মসাতের অভিযোগের খবর পাওয়া গেছে। উল্লেখিত ব্যাপারে ৪ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন আবরু মিয়া।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্বপৈলনপুর ইউনিয়নের পৈলনপুর গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে আবরু মিয়া ০১/০৭/২০১৮ হতে ৩০/০৬/২০২০ইং পর্যন্ত মাসিক ৫শ টাকা হারে ০২ বছর (২৪ মাসে) বারো হাজার টাকা ভাতা উত্তোলন করেন। ভুক্তভোগীর বয়স্ক ভাতার বহি নং ৩২৬, ব্যাংক হিসাব নম্বর ৬৪৫৮। অথচ উপরোল্লিখিত ইউপির ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যের প্রভাবশালী স্বামী ভুক্তভোগী আবরু মিয়াকে মাত্র ছয় হাজার টাকা দেন। বাকি ছয় হাজার টাকা অন্য ভাতাভোগীর ভুলক্রমে চলে এসেছে তার একাউন্টে, ওই টাকা ভাতা অফিসে জমা দিতে হবে এরকম নানা ধরনের ভাওতাবাজির কথা বলে ছয় হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন।
অভিযোগ ছাড়াও অন্যান্যদের সাথে কথা বললে, প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী নাজমা বেগম ও বয়স্ক ভাতাভোগী হালেমা বেগম বলেন, আমরা ভাতা উত্তোলন করে বাড়িতে আসার আগেই সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার ও মেম্বারনীর কাছে ভাতার অর্ধেক টাকা দিয়ে দেই।
এব্যাপারে অভিযুক্ত মসুদ মিয়ার স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের সদস্য শাহিনা বেগম সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যানে বলেছেন অর্ধেক টাকা ভাতা অফিসকে দেওয়া লাগবে, তাই ভাতাভোগীর কাছে নিয়ে দিছি। এখানে আমার কোন সমস্যা নায়।
এ বিষয় নিয়ে পূর্বপৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিন মিয়া বলেন, এবিষয়টি আমার জানা নেই। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জুয়েল আহমদ বলেন, যার বইয়ে যতটাকা লিখা আছে, সে ততই পাবে। এক ভাতাভোগীর একাউন্টের টাকা, অন্য ভাতাভোগীর একাউন্টে যাওয়া কোনভাবেই সুযোগ নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সিলেটবিবিসি/রাকিব/অক্টোবর ০৫,২০২০