নিজস্ব প্রতিবেদক :: দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক প্রকৌশলী সুশান্ত দাসগুপ্তকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হবিগঞ্জের স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে তার সম্পাদিত ও প্রকাশিত পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের জের ধরে করা মামলায় তাকে আটক করে পুলিশ।
হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সায়েদুজ্জামান জহির স্থানীয় সাংসদ আবু জহির এমপির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ‘মিথ্যা’ সংবাদ প্রকাশ করায় এমন মামলা করেন তিনি। এই মামলায় বৃহস্পতিবার সকালে ‘আমার এমপি’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোক্তা ও আমার ব্লগ নামে একটি বাংলা ব্লগ পরিচালনার সাথে যুক্ত এবং লন্ডন প্রবাসী, আওয়ামী লীগ অনলাইন এক্টিভিটিস্ট, দৈনিক আমার হবিগঞ্জের প্রকাশক ও সম্পাদক প্রকৌশলী সুশান্ত দাসগুপ্তকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
হবিগঞ্জের এএসপি (সদর সার্কেল) রবিউল ইসলাম গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সায়েদুজ্জামান জহির বলেন, হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আবু জহির হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য। তার বিরুদ্ধে সুশান্ত দাসগুপ্ত নিজের সম্পাদিত দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে আসছেন এবং ফেসবুকেও এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এতে সংগঠনের সদস্যের মানহানি হওয়ায় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে মামলা করেছি।
তবে, কী ধরণের অপপ্রচার চালানো হয়েছে? সাংবাদিকের করা এমন প্রশ্নের কোন জবাব দিতে চাননি তিনি।
এদিকে আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার কর্মরতদের কাছ থেকে পাওয়া বিশ্বস্থ একটি সুত্র থেকে জানা যায়, যে সংবাদ বা প্রতিবেদনের জেরে সম্পাদককে আটক করা হয়েছে এটি মিথ্যা কোন সংবাদ নয়। প্রতিবেদন রিলেটেড সকল প্রমাণাদি পত্রিকা কর্তৃপক্ষের কাছে সংরক্ষিত আছে। শীঘ্রই আইনী প্রক্রিয়া মেনে সম্পাদক সুশান্ত দাসকে মুক্ত করা হবে এবং দূর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে।
এদিকে, সুশান্ত দাসকে গ্রেফতারের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বিশেষ করে সারাদেশের সাংবাদিকরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা করছেন। সাংসদের পক্ষে একটি প্রেসক্লাব কীভাবে একটি পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করে- এ বিষয়টি নিয়ে অনেক সাংবাদিক সমালোচনা করছেন। তাছাড়া সারাদেশের সাংবাদিকরা দীর্ঘদিন ধরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের জন্য কালো আইন দাবী করে এই আইনকে বাতিল ঘোষণা করতে দাবী জানিয়ে আসছিলেন সেখানে একজন সাংবাদিক অন্য সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা অনেকটা রহস্যজনক বলেও দাবী করেছেন অনেকেই।