শাবি প্রতিনিধি :: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতরেই দুই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে ছিনতাইকারীরা। ক্যাম্পাসের ভেতরেই এমন ঘটনা ঘটার ৫দিন পেরিয়ে গেলেও শাবি প্রশাসনের নীরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা।
ছিনতাইয়ের ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যাপারে খোজ-খবর না নেওয়া, ক্যাম্পাসের ভেতরেই ছিনতাইয়ের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ কিংবা আহত শিক্ষার্থীদের পক্ষে কোন আইনী পদক্ষেপ গ্রহণে শাবি প্রশাসন পাশে না থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যোগাযোগ না করলেও ব্যক্তি উদ্যোগে তার বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক সার্বক্ষনিক তাদের খোঁজ-খবর রাখছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গত ২৯ জুন সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমান হলের পেছনের টিলায় ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা (জিইই) বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের ছাত্র মোঃ শিহাবুল হক ও আব্দুল কাদির ঘুরতে গেলে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে মারাত্বকভাবে আহত হন। বর্তমানে সিলেটের এমএজি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তারা।
আহত শিক্ষার্থী মো শিহাবুল হক বলেন, এত বড় ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একবারের জন্যেও আমার খোঁজ নেয়নি। আমার বিভাগের প্রধানকে বলছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে একটি মামলা করতে। বিভাগের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নাকি বলেছে আমি সাবেক শিক্ষার্থী তাই তাদের কিছু করার নেই।
অপর শিক্ষার্থী আব্দুল কাদির বলেন, আমি চাই না আমার মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের আর কোন শিক্ষার্থী ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাতে আহত হোক। মনে করেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের ব্যবস্থা নিবে। তবে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের তরফ থেকে কোন ধরণের যোগাযোগও করা হয়নি আমাদের সাথে। তবে আমার বিভাগের শিক্ষকরা আমার খোঁজ-খবর রাখছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার মো ইশফাকুল হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনা নিয়ে আমাদের কাছে কেউ আসেনি, কোন কিছু জানায়নি। আমরা শুনেছি এইরকম কিছু হয় নি।’ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনতো এভাবে আমি কিছু বলতে পারবো না। অবস্থা দেখে বুঝতে হবে। শুনে তো কিছু করা যায় না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আলমগীর কবির বলেন, ‘বিষয়টা আমি গতকাল জেনেছি। শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে বিকেল ৫ টার পর যাতে টিলার ঐ দিকে না যায়। তবুও তারা যাচ্ছে। আমি নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছি না এ বিষয়ে। তবুও প্রশাসনের সাথে কথা বলে দেখবো কিছু করা যায় কিনা।’
sylhetbbc24/4th july 2020/mkm