সীমান্তবর্তি এ উপজেলায় ৩ সপ্তাহে চুনারুঘাট থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এ্যাম্মুল্যান্স, মোটরসাইকেল, সিএনজি, কাঁঠালের গাড়ীসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকের পাশাপাশি গাজা আটক করেছে ১৭৭ কেজি। ইয়াবা ৬৩০ পিচ, ভারতীয় মদ ৮ বোতল।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হক জানান, মাদকের ব্যাপারে কোন আপোষ নেই। আশা করি আমি এ থানায় যোগদানের পর থেকেই চুনারুঘাটের মানুষ প্রমাণ পেয়েছেন। চুনারুঘাট থানাকে মাদকমুক্ত করতে তিনি চুনারুঘাটবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন।
তিনি পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, চুনারুঘাট থানাটি সীমান্তবর্তী হওয়ায় পুলিশ সুপার স্যার সবসময় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। খুঁজ-খবর নিচ্ছেন।
করোনার মধ্যেও তার টিম চুনারুঘাট মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন ওসি শেখ নাজমুল হক।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা মাদক বিরোধী শক্তি সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসাইন বলেন, যেহেতু আমাদের চুনারুঘাট সীমান্তবর্তী এলাকা, সেক্ষেত্রে এই এলাকায় মাদকদ্রব্যের আনাগোনা বেশি। ইতিমধ্যে মাদক নিয়ে খুনের ঘটনাও ঘটেছে। তাই প্রশাসন কঠোর ভাবে মাদকবিরোধী অভিযান চালাবেন এটাই কাম্য।
তিনি আরও বলেন, তবে সম্প্রতি বাদকের বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানা পুলিশের অবস্থান বেশ প্রশংসনীয়। করোনার এ মহামারির সময়েও তারা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তাই আমি আশা করব তাদের এ অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। যার মাধ্যমে উপজেলার যুবসমাজ মাদক থেকে মুক্ত হবে।