সিলেটবিবিসি ডেস্ক :: সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর এলাকার বরায়া চানপুর নামক স্থানে গত শুক্রবার (৩১ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান একই পরিবারের চারজন। তারা সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের চরনারচর ইউনিয়নের শ্যামারচর বাগহাটি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
নিহতরা ছিলেন- কমলগঞ্জের আদমপুর ব্র্যাক ইউনিট ম্যানেজার স্বপন কান্তি দাস (৪৫) ও তার স্ত্রী লাভলী রানী সরকার (৩৭) এবং তাদের জমজ সন্তান শৈবাল (৯) ও সৌমিত্র (৯)।
এ ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান স্বপন কান্তি দাসের আরেক সন্তান সৌরভ দাস (১২)। কিন্তু অবশেষে ঘটনার ২ দিন পর আজ সিলেট এম.এ.জি ওসমানী হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মৃত্যুবরণ করেছেন।
নিহতের আত্মিয় সূত্রে সৌরভ দাসের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় ব্রাকে কর্মরত ছিলেন স্বপন কুমার দাস। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সেখানেই থাকতেন তিনি। ঈদের ছুটিতে শুক্রবার স্ত্রী লাভলী রানী দাস ও তিন ছেলেকে নিয়ে প্রাইভেট কারে গ্রামের বাড়ি দিরাইয়ে শ্যামারচরে আসছিলেন তিনি। তাজপুর এলাকার বরায়া চানপুর নামক স্থানে আসা মাত্র ভোর (সাড়ে ৫টার দিকে) সিলেটমুখী কুমিল্লা ট্রান্সপোর্টের একটি বাস ও তাদের প্রাইভেট কারের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। বাসের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে প্রাইভেট কারের অর্ধেকটাই বাসের সামনের দিকে নিচে ঢুকে যায়।
পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাটার মেশিন দিয়ে প্রাইভেট কার ও বাসের সামনের অংশ কেটে মৃতদের বের করে নিয়ে আসেন। এ দুর্ঘনায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার শ্যামারচর গ্রামের স্বপন কান্তি দাস (৪৫) ও তার স্ত্রী লাভলী রানী সরকার (৩৭) এবং তাদের জমজ সন্তান শৈবাল (৯) ও সৌমিত্র (৯)। ওই ঘটনায় প্রাণ হারান প্রাইভেট কারের চালক শ্রীমঙ্গলের হাসিম মিয়াও প্রাণ হারায়।
তাদের আরেক সন্তান সৌরভ দাসকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম.এ.জি ওসমানী হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। কিন্তু আজ সেও চলে গেলো না ফেরার দেশে।
সিলেটবিবিসি/রাকিব