নিজেস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে নববধূকে (১৯) গণধর্ষণের পর আত্মগোপনে ছিল ছয় আসামি। পরবর্তী ১৬ ঘণ্টা পর ধরা পড়ে পাঁচ আসামি।
সূত্রে জানাযায়,মামলার আসামী চারজনকে এমসি কলেজের এক ছাত্রলীগ নেতার ফোন নম্বর ট্র্যাক করে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায় অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, এমসি কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতার ফোন নম্বর ট্র্যাক করে চার আসামির অবস্থান শনাক্ত হয়। পরে অভিযানে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, গত শুক্রবার ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের যাবতীয় তথ্য রাতেই জানাজানি হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ছবিও ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার সকালে এ ঘটনায় মামলা হয়।
শনিবার সকাল আটটা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত, এই তিন ঘণ্টায় এমসি কলেজের এক ছাত্রলীগ নেতার মুঠোফোন নম্বরে অসংখ্যবার কল আসে। এতে পুলিশের সন্দেহ হয়।
পুলিশ তার মুঠোফোন ট্র্যাক করে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত হয়। সবশেষে রবিবার রাতে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় আসামি রবিউল হাসানকে (২৮)। রাতেই তাকে সিলেট মহানগর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আধঘণ্টা আগে র্যাব-৯ এর আরেক অভিযানে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি গ্রেফতার হয়। তার বাড়ি হবিগঞ্জের বাগুনীপাড়া গ্রামে।
এর আগে হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল পলাতক আরেক আসামি অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করে।
অর্জুনের আগে ছাতক থেকে গ্রেফতার হয় প্রধান আসামি সাইফুর রহমান। নোয়ারাই খেয়াঘাট থেকে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার আগেই গ্রেফতার হয় সে।
সিলেটবিবিসি/ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০/ রাকিব