চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফরমপূরণের টাকা ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় এ-সংক্রান্ত কাজে যে পরিমান অর্থ ব্যয় হয়েছে তা বাদ দিয়ে অবশিষ্ট অর্থ ফেরত দেয়া হবে।
জানা গেছে, এইচএসসির ফরম পূরণের জন্য গত বছরের নভেম্বরে কেন্দ্র ফিসহ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের দুই হাজার ৫০০ টাকা, মানবিক ও বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের এক হাজার ৯৪০ টাকা করে ফি দিতে হয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞানে কেন্দ্র ফি (ব্যবহারিক ফিসহ) ৮০৫ টাকা এবং মানবিক ও বাণিজ্যে ৪৪৫ টাকা করে ফি নেয়া হয়। পরীক্ষা আয়োজনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও সেটি বাতিল হওয়ায় কিছু অর্থ জমা রয়েছে। বর্তমানে সে অর্থ শিক্ষার্থীদের ফেরতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক। তিন বুধবার (২১ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনে আমরা সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এতে করে আমাদের অধিকাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছে। অবশিষ্ট অর্থ শিক্ষার্থীদের ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, উত্তরপত্র তৈরি, কেন্দ্র বুকিং, ফরমপূরণ, এডিমিট কার্ড ও সার্টিফিকেট বিতরণ করব। এ বাবদ অধিকাংশ অর্থ ব্যয় হবে। যেহেতু পরীক্ষা বাতিল হয়েছে তাই, উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া হবে না। এ বাবদ যে পরিমাণে অর্থ রয়েছে তা শিক্ষার্থীদের ফেরত দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু অধিকাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছে, তাই খুব বেশি অর্থ ফেরত দেয়া সম্ভব হবে না। ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ফেরত দেয়া সম্ভব হতে পারে। তার মধ্যে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক একটু বেশি ফেরত পারে। তবে আমরা হিসাব-নিকাশ কষে দেখছি। আমাদের কাছে যতটুকু রয়েছে তার পুরোটাই ফেরত দেয়া হবে।
তিনি বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট স্ব স্ব কলেজে পাঠানো হবে। তার সঙ্গে অবশিষ্ট অর্থ পাঠানো হবে। সার্টিফিকেটের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অর্থ ফেরত দেয়া হবে।
সারাদেশে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন। এর মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৭১ জন আর অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫০১ জন। পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষা বোর্ডে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ফরম পূরণ করতে হয় শিক্ষার্থীদের।
হিসাব করে দেখা গেছে, ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা নিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
সিলেটবিবিসি/রাকিব/ডেস্ক/অক্টোবর২১,২০২০