সাদমান সাকিব ( ক্রীড়া প্রতিবেদক ) : আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে পদার্পন ২৬ মে ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ওডিআইতে অভিষেক ৬ আগস্ট ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আর টি২০ তে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন ২৮ নভেম্বর ২০০৬ একই দলের বিপক্ষে।
অভিষেকের কিছুদিন পর থেকে ছন্দ হারিয়ে যায়, অনেক পরিশ্রম করেও ফিরতে পারেন নি আগের মতো, বিসিবি নেয় সিদ্ধান্ত, দিয়ে দেয় অধিনায়কের মতো বড় দায়িত্ব। ফিরলেন রাজার বসে, জানিয়ে দিলেন বিসিবির কর্মকাণ্ড ঠিকই তো। সেই থেকে আজ পর্যন্ত সবাই এক বাক্যে ডাকে মি: ডিপেন্ডবল। বলছি ৯ মে ১৯৮৭ সালে বগুড়ায় জন্মগ্রহন করা এক বিষ্ময়বালকের কথা। নাম তার মোহাম্মদ মুশফিকুর রহিম। ডাক নাম মিতু।
বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটসম্যান + উইকেটরক্ষক এর জন্মদিন আজ। কে জানতো ইনিই হবেন দেশ সেরা ব্যাটসম্যান। ১৫ নম্বর জার্সি গায়ে দিয়ে শাসন করে চলেছেন বিশ্বের বড় বড় নামকরা বোলারদের।
২০০৫ সালে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে অভিষেক হয় টেস্ট ম্যাচে। বাংলাদেশের জন্যও তখন ইংল্যান্ড সফর ছিলো প্রথম। প্রথমতো বাংলাদেশ দলে উইকেটরক্ষক হিসেবে মুশফিককে নেওয়া হয় কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচে সাসেক্সের বিরুদ্ধে তার ৬৩ রানের ইনিংস এবং নটিংহ্যাম্পশায়ারের বিরুদ্ধে করা অপরাজিত ১১৫*। বিসিবিকে জানিয়ে দেন তিনি শুধু উইকেটরক্ষক না দলের বিপদে হাল ধরতেও আসছেন। যার দরুন লর্ডসে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে তিনি স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবেই দলে জায়গা করে নেন। ১৬ বছর বয়স লর্ডসের মতো স্টেডিয়ামে ১৮ রান করে সাজঘরে ফিরেন মুশি। তারপর ইঞ্জুরির কবলে পরে আর খেলা হয় নি ইংল্যান্ড সিরিজ।
২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এশিয়া কাপে নিজেদের সেরা সাফল্যে রানার্সআপ হয়।টেস্ট ক্রিকেটে মুশফিকের অধিনায়কত্বেই বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কাকে পরাজিত করে।