রুজেল আহম্মেদ, আজমিরীগঞ্জ:: হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে শারদীয় দুর্গা পূজাঁ উপলক্ষে সরকারিভাবে বরাদ্দ কৃত চাল নিলামে বিক্রী না করে শ্রমিকলীগ নেতাকে নিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিক্রীর অভিযোগ উঠেছে উপজেলা পুজাঁ উদযাপন পরিষদ কমিটির সাধারন সম্পাদক প্রদিপ রায়ের বিরুদ্ধে। প্রতি মণ্ডপে ১ হাজার ৫ শত টাকা করে কম পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন পুঁজা পরিচালনা কমিটি।
সুত্রে জানাযায়, উপজেলা পুজাঁ উদযাপন কমিটি সাধারন সম্পাদক প্রদিপ রায় নিজেই ৩৭ টাকা কেজি দরে চাল ক্রয় করে ৩৪ টাকা কেজি দরে পূজাঁ পরিচালনা কমিটির নিকট টাকা হস্তান্তর করেন। এদিকে প্রতি মন্ডপে ১ হাজার ৫ শত টাকা করে কম পাওয়ায় এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানাযায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পৌরসভা ও পাচঁটি ইউনিয়নের ৩৫টি পূজাঁ মন্ডপে এবার পুঁজা উদযাপন হচ্ছে প্রতিটি মন্ডপে সরকারি ভাবে ৫ শত কেজি করে ১৭ হাজার ৫শ’ কেজি (সাড়ে ১৭ মেঃ টন) চাল বরাদ্ধ আসে সরকারি ভাবে । বরাদ্দকৃত ওই চাল আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচুং আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল মজিদ খাঁনের নির্দেশনা ছিলো স্হানীয় ̈ব্যবসায়ীদেরকে নিয়ে প্রকাশে নিলামে বিক্রীর জন্য । কিন্তু উপজেলা পূজাঁ উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক প্রদিপ রায় কাউকে না জানিয়ে নিজেই সিন্ডিকেট তৈরী করে সাবেক উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক উবায়েদুর রহমানকে নিয়ে দুজনে মিলে ৩৭ টাকা কেজি দরে চালের মূল্য নির্ধারন করে ১৭ হাজার ৫শ’ কেজি (সাড়ে ১৭ মেঃ টন) চাল ক্রয় করেন। কিন্তু প্রতিটি মন্ডপে ৩৪ টাকা কেজি দরে ৫ শত কেজি চালের মূল্য১৭ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন । বর্তমান চালের বাজার মূল ̈ ৪২-৪৮ টাকা কেজি।এদিকে ৩৭ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রী করে ৩৪ টাকা দরে পূজা পরিচালনা কমিটির নিকট দেয়া হলেও মোট ৩৫ মন্ডপের ১ হাজার ৫ শত টাকা করে ৫২ হাজার ৫ শত টাকার কোন হদিস নেই।
কাকাইলছেও ইউনিয়নের পূজাঁ পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক( নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাদের ইউনিয়নের ৬ টি পুজাঁ মন্ডবের চাল স্হানীয় ব্যাবসায়ী লায়েছ মিয়ার নিকট বিক্রী করার জন্য প্রতি কেজি ৩৯ টাকা নির্ধারন করেছিলাম কিন্তু আমাদেরকে না জানিয়ে ৩৪ টাকা কেজি দরে বিক্রী করেছে বলে আমাদের মন্ডপে বরাদ্দকৃত ৫ শত কেজি চালের ১৭ হাজার টাকা উপজেলা পূজাঁ উদযাপন পরিষদ কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক দেয়।
সাবেক শ্রমিকলীগ সাধারন সম্পাদক উবায়েদুর রহমান বলেন, সমযোতার মাধ্যমে ৩৭ টাকা দরে আমি ৮ হাজার ৫ শত কেজি (সারে ৮ মেঃ টন) ও প্রদিপ রায় ৯ হাজার কেজি (৯ মেঃ টন) চাল ক্রয় করি।
উপজেলা পূজাঁ উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জীবন চন্দ্র চন্দ বলেন, আমরা চাল ৩৪ টাকা করে বিক্রী করেছি তারা কেন ৩৭ টাকা করে বলছে আমি বুঝতে পারছি না। তিনি আরো বলেন, পুজাঁ উদযাপন পরিষদ কমিটির সাধারন সম্পাদক প্রদিপ রায়কে আমি নিষেধ করেছি ওই চাল না কেনার জন্য কিন্তু সে আমার কথা রাখেনি
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মতিউর রহমান খান বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি ,তদন্তসাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে ।
সিলেটবিবিসি/রাকিব/ডেস্ক/অক্টোবর ২১,২০২০